, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


প্রেমিকার ঘরে আটক পল্লি চিকিৎসক, জুতার মালা পরালেন মাতবররা

  • আপলোড সময় : ২৮-০৮-২০২৩ ১২:২৫:৩৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৮-২০২৩ ১২:২৫:৩৬ অপরাহ্ন
প্রেমিকার ঘরে আটক পল্লি চিকিৎসক, জুতার মালা পরালেন মাতবররা
আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রেমিকার ঘরে হাতেনাতে আটকের পর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পরকীয়ায় ধরা পড়ে বেল্লাল হোসেন (৫৫) নামে এক গ্রাম্য চিকিৎসককে মারধর করে গলায় জুতার মালা পরিয়েছেন স্থানীয় মাতবররা। সেই অবস্থায় তার ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচারের নির্দেশও দেন তারা। শনিবার (২৬ আগস্ট) গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল ইউনিয়নের তারুটিয়া গ্রামে। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুগলকে উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের কসিমুদ্দিন আকন্দের ছেলে পল্লীচিকিৎসক বেল্লাল হোসেনের সঙ্গে তারুটিয়া গ্রামের তাহাজ আলীর স্ত্রীর পরকীয়া ছিল। শনিবার রাতে বেল্লাল হোসেন প্রেমিকার ঘরে যান। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা উভয়কে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে গ্রামের মাতবর আহসান হাবিবের নেতৃত্বে নুরুল হালিম, সাঈদ, সুবল, সেলিম, আলম, সোলাইমান, এরশাদ আলী, সুজন খাইরুল, রবিউলসহ অনেকেই উপস্থিত হন।

তারা গ্রাম্য শালিস বসিয়ে সামাজিক বিচারে বেল্লাল হোসেনকে জুতার মালা পরিয়ে দেন। জুতার মালা পরানোর পর উপস্থিত যুবকদের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে প্রচারের নির্দেশ দেন মাতবর আহসান হাবীব। পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সলঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে গ্রাম্য মাতবর আহসান হাবীবকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলম রেজার নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।

সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তাদের উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সকালে গৃহবধূকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বেল্লাল হোসেন এখনো থানা হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ না করায় আদালতে পাঠানো হয়নি। তবে যারা বেল্লাল হোসেনকে জুতার মালা পরিয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ছবি ছেড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।